শাহ সুজা মসজিদ ৩৫২ বছর ধরে স্ব মহিমায় টিকে আছে। মসজিদটি পাক ভারত উপমহাদেশের প্রাচীন মসজিদগুলোর মধ্যে অন্যতম । এই মসজিদ আয়তনের দিক দিয়ে খুব বেশী বড় না হলেও এর কৃষ্টি, ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং সার্বিক অবয়ব বহন করে আভিজাত্যের প্রতীক ।
এর বাহ্যিক কারুকাজ প্রমাণ করে তৎসময়ে এর প্রতিষ্ঠাতাদের স্রষ্টার প্রতি সুবিশাল আনুগত্য এবং রুচির পরিচায়ক। সাম্প্রতিকালে মসজিদের দুই প্রান্তে ২২ ফুট করে দুটি কক্ষ এবং সম্মুখ ভাগে ২৪ ফুট প্রশস্ত একটি বারান্দা নির্মাণ করায় আদি রূপ কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। মসজিদের উত্তর-পূর্ব কোণে নির্মাণ করা হয়েছে একটি সুউচ্চ মিনার।
উত্তর দক্ষিণে লম্বা মসজিদের চার কোনে ৪টি অষ্ট কোনাকার মিনার ছিল। এগুলি মসজিদের ছাদের অনেক উপরে উঠে গেছে। সামনের দেয়ালে ছিল ৩টি দরজা এবং ভেতরে পশ্চিম দেওয়ালে ছিল ৩টি মেহরাব। কেন্দ্রীয় প্রবেশ পথ ও মেহরাব অন্য দুটির চেয়ে অনেক বড়। কেন্দ্রীয় দরজাটির বাইরের দিকে কিছুটা প্রসারিত এবং দুপাশে আছে দুটি সরু গোলাকার মিনার। মসজিদের সম্মুখ ভাগে প্যানেল দ্বারা সুশোভিত ছিল এবং কার্নিশের উপরে ছিল ব্যাটলম্যান্ট, তার ওপরে ছিল একটি গম্বুজ।
কুমিল্লার গোমতীর তীরের শাহ সুজা মসজিদটি পাক ভারত উপ মহাদেশের প্রাচীন সভ্যতার অপূর্ব নিদর্শন।
Source- https://www.ekushey-tv.com/